আইফোন "X" এর অবাক করা ফিচার। এক নজরে দেখে নিন.........
"APPLE" কোম্পানি ইতিমধ্যে তাদের নতুন আইফোন বের করেছে। তার নাম দেয়া হয়েছে আইফোন "X" বা আইফোন টেন। এটিকে বলা হয় "The Future Of Iphone" কারন এতে রয়েছে কিছু আকর্ষণীয় ফিচার যার কারনে সারাবিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফোনটি। এর প্রথম অবাক করা ফিচার ফোনটিতে কোনো হোম বাটন দেয়া হয়নি, এর পরিবর্তে আনা হয়েছে "ফেস আইডি" যা আইফোনে প্রথম।
এতে রয়েছে সার্জিক্যাল-গ্রেড স্টেইনলেস স্টিলের বডি এবং ৫.৮ ইঞ্চি সুপার রেটিনা (OLED) ডিসপ্লে। এতে ১০,০০,০০০ টু ১ কনট্রাস্টরেশিও পাবেন। আইফোন ১০ এ আপনার নিজের চেহারা দিয়ে এনিমেটেড ইমোজি বানাতে পারবেন। কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার নেই, এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ফেস আইডি সুবিধা যার মাধ্যমে ফোনের দিকে তাকিয়েই এটি আনলক করা যাবে।এই ফেস আইডি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের চেয়েও দ্রুত ও নিরাপদ বলে দাবী করেছেন এ্যাপল কর্তৃপক্ষ।
এর চেয়েও বেশী আকর্ষণীয় বিষয় হলো তারবিহীন চার্জার। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য ফিচারটি পুরনো হলেও আইফোনের জন্য বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন। এই সুবিধা যুক্ত করার জন্য ফোনের পিছনে অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গ্লাস। অ্যাপলের দাবী, এটি স্মার্ট ফোনে ব্যবহৃত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মজবুত গ্লাস।
এবার আসা যাক আইফোনের ডিজাইনের দিকে, আইফোন টেন এর ডিজাইনে বিশাল পরিবর্তন এনেছে অ্যাপল। এজ টু এজ ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে। ৫.৮ ইঞ্চির ডিসপ্লে দেওয়া হলেও এর আকৃতি আইফোন ৮ প্লাসের চেয়েও ছোট। আইফোন ৬ এর পর এটাই আইফোনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।
ক্যামেরার কথা বলতে গেলে আইফোনের পেছনের দিকে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল ডুয়াল ক্যামেরা। ডুয়াল টোন কোয়াড এলইডি ফ্ল্যাশ। সামনের দিকে রয়েছে ৭ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। আইফন ১০ এ এসেছে নতুন ৬৪ বিট ৬ কোর অ্যাপল এ১১ বায়োনিক চিপসেট যার মধ্যে ৪.৩ বিলিয়ন ট্রানজিস্টর আছে। এটি সেকেন্ডে ৬০০ বিলিয়ন কাজ করতে সক্ষম। এতে আছে ৩জিবি র্যাম। এর ব্যাটারি টকটাইম ২১ ঘন্টা পর্যন্ত এবং মিউজিক প্লে ৬০ ঘন্টা পর্যন্ত।
অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ১১ আইফোন ১০ এর ৬৪ জিবি মেমোরির দাম হবে ৯৯৯ ডলার এবং ২৫৬ জিবি মেমোরির দাম হবে ১১৪৯ ডলার। এটি স্পেস গ্রে এবং সিল্ভার কালারে পাওয়া যাবে।
No comments