বর্তমানে সময়ে সেলফি একটি ভয়াবহ ঘটনা। না জানলে জেনে নিন......
প্রত্যেকের কাছে একটি পরিচিত শব্দ হলো "সেলফি"। প্রতিদিন নানাভাবে ধারণ করা হচ্ছে "সেলফি"। খাবার টেবিল থেকে ঘুমানোর রুম, যানবাহনে চলাচল, দুর্ঘটনাকবলিত ব্যাক্তির সঙ্গে, অনভিপ্রেত নানা বিষয়-বস্তুর সঙ্গে ধারণ করা হচ্ছে সেলফি নামক এই আলোকচিত্র। এমনকি মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর পাশে দাঁড়িয়েও সেলফি তুলতে দেখা গেছে অনেককে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে "সেলফি" তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন অনেকে।
শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের সেলফির প্রতি রয়েছে দুরবলতা। "সেলফি" ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেও্যা হচ্ছে মুহূর্তে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকর্ষণীয়, সুন্দর সেলফিতে বিপুল বন্ধুদের লাইক, প্রশংসনীয় কমেন্টের জন্য অনেকে নিয়মিত সেলফি ধারণ করে এবং তা সামাজিক মাধ্যম গুলোতে প্রকাশ করেন।এটি "সেলফি রোগ" বলে আখ্যায়িত করেছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে অনেকে।
নৈতিকতা চর্চার অভাবে মানবিক বোধের বিকাশ ঘটছেনা সেভাবে। যে কারনে সেলফি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ত্রুণ-ত্রুণীরা। ঘটছে নানা অনভিপ্রেত ঘটনা। একটি সেলফি ধারন করতে গিয়ে প্রান হারাতে হয়েছিলো বাংলাদেশের ছেলে আসাদুজ্জামান রনিকে। দুঃসাহস নিয়েই কুমিরের সঙ্গে সেলফি ধারণ করতে গিয়েছিলেন তিনি।
কুমিরটি তাকে টেনে পুকুরের পানিতে নিয়ে যায়, রক্তে লাল হয়ে যায় পুকুরের পানি, আশেপাশে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য দেখছেন অনেকে। সেই দৃশ্যেরও সেলফি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করেছেন কেউ কেউ। পার্কে চলন্ত নাগরদোলায় দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন বাংলাদেশি রিদু নামের একটি ছেলে। আর এভাবেই অনেকে পশুপাখির সঙ্গে, এমনকি চলন্ত ট্রেনের সঙ্গেও সেলফি তুলেন।এতে করে প্রায়ই ঘটছে অনেক দুর্ঘটনা।
সবার হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন যেখানে ক্যামেরা, ভিডিও ও ইন্টারনেটের সুবিধা থাকে, বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীরা এখন ইন্টারনেটে আসক্ত। সুন্দর, ব্যতিক্রম ছবি দিলে বন্ধুরা বেশি প্রশংসা করবে, লাইক দিবে, এতেই মজা পাচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সেলফি তুলে পোস্ট করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।
এটি যতটা বিনোদন তারচেয়ে বেশি ক্ষতির কারন, সময় ক্ষেপণ ছাড়াও মস্তিস্তকে এই কাজে ব্যস্ত রাখছে তারা। এটি এক ধরনের অসুস্থতা। এ থেকে সবাইকে সচেতন করতে হবে। মানসিক মূল্যবোধ জাগ্রহ করতে হবে। এজন্য নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই বলে করেন সমাজ বিজ্ঞানীরা।
No comments