Header Ads

"পৃথিবী ধ্বংসের শেষ তারিখ"


http://worldwidenewsthejournalist.blogspot.com/2017/12/blog-post_6.html

একটা বিষয়তো আমরা সবাই জানি যে, এক না একদিন আমাদের এই পৃথিবীর ধ্বংস নিশ্চিত। বেশিরভাগ ধর্মগ্রন্থেই পৃথিবীর বিনাশ বা প্রলয়ের উল্লেখ রয়েছে যার ফলে এই সুন্দর পৃথিবীর বিনাশ নিশ্চিত বলে ধরা হয়। বিভিন্ন ধর্মে পৃথিবীর ধ্বংসের ঘটনা বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

পৃথিবী ধ্বংসের সঠিক ভবিষ্যৎবাণী করাটা অসম্ভব। কিন্তু এই ধর্মগ্রন্থকে অনুসরণ করে ভবিষ্যৎবাণী করনে পটু বা দক্ষ ব্যাক্তিরা পৃথিবী ধ্বংসের শেষ দিন বা তারিখ সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন। কিছু কিছু বিজ্ঞানীরা তাদের বৈজ্ঞানিক গণনার মাধ্যমে পৃথিবী ধ্বংসের শেষ তারিখ গণনা করে গেছেন। এর মধ্যে কিছু কিছু ভবিষ্যৎবাণীর সময় পেরিয়ে গেছে আবার কিছু কিছু ভবিষ্যৎবাণীর সময় মানুষকে ভয় দেখিয়ে চলছে এবং সামনে এগিয়ে আসছে।

লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি ৪০০৬ ভবিষ্যৎবাণীবিদ এর মতো পৃথিবী ধ্বংসের ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। তার মতে ৪০০৬ সালে পৃথিবীতে এমন একটি সুনামি আসবে যার ফলে পৃথিবীর সব অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। তিনি উল্লেখ করেছেন পৃথিবী ধ্বংসের শুরুটা হবে ২১ই মার্চ ৪০০৬ সালে সমুদ্র থেকে উঠে আসা একটি বিশাল ঢেউ থেকে। আর ১লা নভেম্বর পৃথিবীর সমগ্র অংশ জলমগ্ন হয়ে যাবে এবং এভাবেই হবে পৃথিবীর ধ্বংস। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি একজন গাণিতিক,আবিষ্কারক, সিঙ্গার, পেইন্টার, ইঞ্জিনিয়ার এবং আরো অনেক কিছু ছিলেন। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি এই নামটির সাথে অনেকেই পরিচিত।

লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি আরো বলেছেন যে পৃথিবী ধ্বংস হবার পর পুনরায় এই পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হবে। "মায়ান ছিভিলাইজেশন" ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা ঘোষণা করা হয়েছিল মায়ান সভ্যতার ক্যালেন্ডার অনুসারে। ২০১২ সালে চর্চায় আসা এই ভবিষ্যৎবাণী অধিকাংশ মানুষই সত্যি মনে করে ফেলেছিলো। কারণ মায়ান সভ্যতা গণিত এবং বিজ্ঞানে খুবই উন্নতি সাধণ করেছিলো কিন্তু এই ভবিষ্যৎবাণীটি ভুল প্রমাণিত হয়। মায়ান সভ্যতার ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর ১২ই ডিসেম্বরের পরে কোনো তারিখ উল্লেখ ছিলো না। ইতিহাসবিদদের মতে মায়ান সভ্যতা এক হাজার বছর আগেই পৃথিবী ধ্বংসের এই তারিখটি অনুমান করেছিলেন। এবং এই সভ্যতার গণনা অনুযায়ী পৃথিবীর বয়স ৫১২৬ বছর।

বাবা ভাঙ্গা,৫০৭৯ বলগানোর একজন ভবিষ্যৎবক্তা। বর্তমান কালে চর্চার মধ্যে রয়েছেন। বর্তমানকালে করা তার ভবিষ্যৎবাণী গুলোর মধ্যে অধিকাংশ সম্পূর্ণরূপে সঠিক প্রমাণিত হচ্ছে। আমেরিকার নাইনইলেভেন, টেরোরিস্ট আক্রমণ, জাপানের সুনামি, এবং ISIS এর মতো জঙ্গি সংগঠনের সামনে আসার ভবিষ্যৎবাণী সঠিক হয়েছে। তিনি পৃথিবী ধ্বংসকে নিয়ে যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তা সকলকে চমকে দিতে পারে। তিনি বলেছিলেন ৫০৭৯ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। যদিও বা তিনি এই ভবিষ্যৎবাণীটি সোজাসুজি বলেননি। তিনি বলেছেন আগামি ১০০ বছরের মধ্যে মানুষ কৃত্রিম সূর্য বানিয়ে নেবে, ২১১১ সালে মানুষ রোবট এর মত বসবাস করবে, ২১৬৭ সালে একটি নতুন জাতি তৈরি হবে, ২১৯৬ সালে ইউরোপ এবং এশিয়া এক হয়ে যাবে, ২২৭১ সালে ফিজিক্সের থিওরিগুলো চেঞ্জ হয়ে যাবে তার ঠিক ১৫০ বছরের মধ্যে মানুষ এলিয়েনের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে, ৩০০৫ সালে মঙ্গলগ্রহে হবে সব থেকে বড় যুদ্ধ।

আর ৩৮০৫ সালে হিউম্যান রিসার্চ এর জন্য যুদ্ধ হবে, পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের মৃত্যু হবে সেই যুদ্ধে। ৪৬৭৪ সালের মধ্যে মহাকাশের সব গ্রহ মিলিয়ে ৩৪০ বিলিয়ন মানুষ বসবাস করবে। মানুষ এবং এলিয়েন একসাথে পরিবার বিস্তার করবে। তারপর মানুষ অগ্রসর হবে মহাকাশের বাহিরের খোঁজে তারপর ৫০৭৯ সালে কিছুই থাকবেনা এই পৃথিবীতে। তার মতে এটাই হবে পৃথিবীর ধ্বংস। যদিও তার বর্তমান কালের কিছু ভবিষ্যৎবাণী সত্য হয়েছে তেমনি তার অধিকাংশ ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যেও প্রমাণিত হয়েছে। তেমন একটি উদাহরণ হলো, তিনি মনে করেছিলেন ২০১০ সালে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবে কিন্তু সেটি হয়নি।

স্টিফেন হকিংস, তার মতে মানুষের হাতে আগামী ১০০০ বছর বাকী আছে তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য। তিনি এ যুগের সেরা বইজ্ঞানী। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একটি বক্তব্যে বলেছিলেন আগামী ১০০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর ধ্বংস নিশ্চিত। তার মতে আজকের পৃথিবী ততোটা শক্তিশালী নয় যে সব রকমের বিপর্যয় সে বহন মরতে পারবে। স্টিফেনের মতে মানব সভ্যতাকে খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবীর মত বসবাসের জন্য অন্য গ্রহ খুঁজতে হবে এবং বসবাস শুরু করতে হবে নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য।

No comments

Powered by Blogger.