Header Ads

Windows 8 এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যাবলি।



Windows 8 হলো মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের পরবর্তী সংস্করণ যা উইন্ডোজ ৭ কে অনুসরণ করে। তবে উইন্ডোজ ৮ এ পূর্ববর্তী সংস্করণ গুলো থেকে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। উইন্ডোজ ৮ এর গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবর্তন হলো এর ইউজার ইন্টারফেসে। আগের "মেট্রো ইন্টারফেসে" পরিবর্তন এনে নতুন স্পর্শসচেতন(টাচ) ইন্টারফেসে রুপান্তর করা হয়েছে। ১৭ বছর আগে উইন্ডোজ ৯৫ এ "স্টার্ট মি আপ" স্লোগান দিয়ে যুগান্তকারী সুবিধা "স্টার্ট বাটন" যুক্ত করেছিলো মাইক্রোসফট। জনপ্রিয় এই বৈশিষ্ট্য বাদ দেওয়া হয়েছে উইন্ডোজ ৮এ। স্টার্ট মেনু এখন পরিণত হয়েছে স্টার্ট স্ক্রিনে। এই একটি স্ক্রিনের মাধ্যমেই পুরো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগে অনেক রকম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হত, কিন্তু উইন্ডোজ ৮এ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যুক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য উইন্ডোজের চেয়ে দ্রুতগতিতে সেটআপ এবং লোড হবে উইন্ডোজ ৮। এছাড়াও উইন্ডোজ ৭ এর চেয়ে ৫০ শতাংশ দ্রুতগতিতে চালু হবে উইন্ডোজ ৮। উইন্ডোজ ৮ এর নতুন এভেপ্লারারের অন্যতম শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য হলো এর নতুন ফাইল কপি-পেস্ট ব্যবস্থা। একাধিক ফাইল কপি করার সময় এবার আর পৃথক উইন্ডো ওপেন করা লাগবে না, একটি উইন্ডোতেই সারিবদ্ব ভাবে তাদের তালিকা দেখা যাবে। ট্যাবলেট, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ সব কিছুতেই অ্যাপ্লিকেশনের জয়জয়কার। এ অ্যাপ্লিকেশন বাজারে এতদিন ছিলো এন্ড্রয়েড ও আইওএসের দখলে, এবার উইন্ডোজ ৮ দিয়ে মাইক্রোসফট নিয়ে এল অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতাদের জন্য অনেক নতুন সুযোগ। আরো কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা রয়েছে উইন্ডোজ ৮এ, এর মধ্যে আছে টু-টাচ কীবোর্ড, মাল্টি মনিটর সুবিধা, ডিফল্ট ইউএসবি ৩.০ সাপোর্ট ইত্যাদি।

উইন্ডোজ ৮ মূলত উইন্ডোজ ৭এর একটি উন্নত ভার্সন, যার ফলে Installation system থেকে মোটামুটি সবকিছু উইন্ডোজ ৭এর মত। কেবল মাত্র Theme এবং Using Portacol এ একটু পার্থক্য আছে। উইন্ডোজ ৮ ইন্সটল দেয়ার পর অনেকেই প্রথমে যে সমস্যায় পড়েন তা হলো পিরাটেড উইন্ডোজ ৮টি কে এক্টিভ বা ফুল ভার্সন করা। এর জন্য একটি Windows Active Loader প্রয়োজন হবে। এটি ইন্সটল দেয়ার সময় আরেকটি সমস্যায় পড়েন বিশেষ করে ল্যাপটপে হয়ে থাকে, সেটা হলো Shift+2 চাপলে (@) আসার কথা কিন্তু তার জায়গায় (") চিহ্ন আসে আর ( ' ) এই বাটনে ক্লিক করলে (@) আসে। এর সমস্যার জন্য পিসির কন্ট্রোল প্যানেলে যান। সেখান থেকে Clock, Language and region> Change Input Methods > Option > Add an Input Method কমান্ড অনুসরণ করুন। অনেক গুলো কীবোর্ড Lay out আসবে। সেখান থেকে United States International Qwerty Keyboard করুন, তারপর Save করুন সমস্যাটি ঠিক হয়ে যাবে।

Theme এবং Using Protocol এর কিছু পরিবর্তনের কারণে উইন্ডোজ ৮এ উইন্ডোজ ৭এর মত বাম পাশের কোণায় কোনো স্টার্ট বাটন নেই। এজন্য প্রথম স্টার্ট মেনুর জিনিসপত্র খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হয়। উইন্ডোজ ৮এর স্টার্ট মেনুর সব কিছু পাওয়ার জন্য ডেস্কটপের ডানপাশে উপরে বা নিচের দিকে যে কোনো কোণায় মাউস কার্সর নিয়ে যান দেখবেন একটি সাইডবার ওপেন হবে। এরপর সেখান থেকে সিটিংস অপশনটিতে ক্লিক করুন। উপরের সারিতে Control panel সহ Power Button, Internet Access volume, Brightness, keyboard সহ সকল অপশন থাকবে। উইন্ডোজ ৭এর মত আগে যেখানে Power Button ছিলো সেখানে এখন কিছুই নেই। এর জন্য PC Shut Down বা Restart করতে সমস্যা হয় অনেকেরই। এর জন্য ডেস্কটপের ডানপাশে উপরে বা নিচের দিকে যে কোনো কোণায় মাউস কার্সর নিয়ে গেলে সাইডবার ওপেন হবে। সেখান থেকে Search অপশনে ক্লিক করলে সার্চ এর অপশন সহ স্টার্ট মেনুর সবকিছু পাওয়া যাবে।

No comments

Powered by Blogger.